হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, কুমারপুর, কুমারপুর মসজিদে পবিত্র আহলেবাইতে (আ.) এর শোক ও স্মৃতিচারণের অংশ হিসেবে হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রথম মজলিস অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত এ ধর্মীয় সমাবেশে স্থানীয় শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
মজলিসে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মাওলানা মুনির আব্বাস নাজাফি। তিনি তার আলোচনায় হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.)-এর জীবনী, আদর্শ, ইমান, তাকওয়া, দানশীলতা, এবং ইসলামের সুরক্ষা ও প্রচারে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
মাওলানা নাজাফি বলেন, “হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.) শুধু মহানবী (সা.)-এর কন্যাই নন, তিনি ছিলেন ইসলামের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যাঁর চরিত্র, সাহস ও ত্যাগ আজও সমগ্র মানবজাতির জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত।” বক্তৃতার সময় তিনি ফাতিমা যাহরার (সা.) পারিবারিক জীবন, আহলে বাইতের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, মুমিনদের প্রতি করুণা, এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার অবস্থান নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সমাজের সাংস্কৃতিক ও নৈতিক অবক্ষয় রোধে ফাতিমা যাহরা (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করা সকলের জন্য অপরিহার্য। বিশেষ করে নারীদের শিক্ষায়, চরিত্র গঠনে এবং পারিবারিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর আদর্শ অত্যন্ত কার্যকর ও শিক্ষণীয় উদাহরণ।
মজলিস শেষে শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। আয়োজকরা জানান, শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী দিনগুলোতেও ধারাবাহিকভাবে আরও মজলিস ও মিলাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এমন আয়োজনকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করে জানান যে, এ ধরনের মজলিস তরুণ প্রজন্মকে ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস ও আহলে বাইতের জীবনাদর্শের সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করে।
আপনার কমেন্ট